top of page

এক বিস্ময়কর নতুন জগৎ আপনার জন্য অপেক্ষা করছে!

 

এ’এক শান্তি ও আনন্দের জগৎ —প্রকৃত অধ্যাত্ম জ্ঞানের জগৎ, প্রকৃত ভালবাসা— শাশ্বত প্রেমের জগৎ, —যা আপনি চিরিদিন চেয়ে এসেছেন। এখানে আপনি বহু কিছু নতুন ক’রে আবিষ্কার করবেন, —এমনকি নিজেকেও! এক বিস্ময়কর নতুন জীবন আপনার জন্য অপেক্ষা করছে এখানে!

‘মহাধর্ম’ হলো—   অন্ধ-বিশ্বাস মুক্ত যুগোপযোগী মানব-বিকাশমূলক ধর্ম। মানব ধর্ম। সদস্য হোন। আপনার এলাকায় শাখা-কেন্দ্র গড়ে তুলুন। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।

আমাদের এই মহাকর্মযজ্ঞে স্বেচ্ছাসেবী অনুবাদক (বাংলা থেকে হিন্দী / ইংরাজী) প্রয়োজন। আগ্রহীগণকে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করছি। 

বহুকাল ধরে-- বহু মহাপুরুষ-- বহু উপদেশ দিয়ে এসেছেন।
তাই আর উপদেশ নয়, যথাসম্ভব সত্যকে সবার সামনে তুলে ধরাই আমার কাজ।
                                              ~মহামানস

মহাধর্ম গ্রহণ সম্পর্কে

আমরা কাউকে ধর্মান্তরিত (কনভার্ট) করতে আগ্রহী নই। আমরা কেবলমাত্র তাঁদেরকেই কামনা করি, যাঁরা আমাদের সমমনস্ক— সম-মত পোষণকারী— সমধর্মী এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে মহাধর্ম গ্রহণে ইচ্ছুক।

মহাধর্ম যেহেতু মানুষের মৌলিক ধর্ম, তাই যেকোন মানুষ তাঁর পূর্বেকার ধর্ম পরিত্যাগ না করেও ‘মহাধর্ম’ গ্রহণ ও পালন করতে পারবেন।

তবে, যাঁরা সক্রিয় সদস্য হতে চান, যাঁরা পরিপূর্ণভাবে মহাধর্ম অনুসরণ করতে চান, তাঁদেরকে অন্যান্য মতবাদ পরিত্যাগ ক’রে— সম্পূর্ণরূপে মহাধর্মী/মহাধর্মীন হয়ে উঠতে হবে।

দীক্ষা শুধুমাত্র তাঁদেরকেই দেওয়া হবে, যাঁরা পরিপূর্ণভাবে মহাধর্ম অনুসরণ করতে ইচ্ছুক, এবং মহাধর্ম সংসদের সক্রিয় সদস্য হতে ইচ্ছুক। 

 

মহাধর্ম যাঁদের জন্য

মহাধর্ম-এর মুল সুরের সাথে যাঁদের মন-বীণার সুরের মিল আছে, মহাধর্ম-কে ভালবেসে যাঁরা গ্রহন করবে, তাঁদের জন্যই মহাধর্ম। সাধারণতঃ মুক্তমনের যুক্তিবাদী সত্যপ্রিয় জ্ঞানপিপাসু  আত্ম-বিকাশকামী মানুষরাই মহাধর্ম গ্রহন করে থাকেন। 

দৃঢ় বিশ্বাসই হলো অন্ধ-বিশ্বাস। যা স্বল্পজ্ঞান বা অজ্ঞান-অন্ধত্বের পরিচায়ক। এই বিশ্বাসই হলো যত নষ্টের মূল। সারা পৃথিবী জুড়ে, মানব জগতে যত সমস্যা, যত অঘটন, যত সঙ্কট, তার অধিক অংশের মূলেই আছে--- বিশ্বাস বা অন্ধ-বিশ্বাস।

অন্ধ-বিশ্বাসের অন্ধকার দুনিয়াটাকে যদি বদলাতে চান, যদি জীবনকে জ্ঞানের আলোকে আলোকিত করে তুলতে চান, তাহলে এখন থেকে 'বিশ্বাস' কথাটাকে বিদায় দিয়ে বলুন, ধারণা বা অনুমান অথবা আপাত আস্থা, আপাত সত্য, আর না হয় বলুন, আপাত বিশ্বাস।

অস্পষ্টভাবে অনেক জানার চাইতে, স্পষ্টভাবে একটু জানা অনেক ভালো।

ঈশ্বর এবং আধ‍্যাত্মিক বিষয়েও, বিশ্বাস ছাড়াই--- যুক্তি পথেই বেশি জানা সম্ভব। শুধু এতদিনের অভ‍্যাসটাকে পাল্টে, যুক্তিপথে সত‍্যানুসন্ধিৎসু মুক্ত মন নিয়ে এগতে হবে আমাদের।

যে অসুস্থ বিকারগ্রস্ত উন্মাদনা ও কামোন্মাদনা আজ সংক্রামক মহামারক ব‍্যাধির মতো চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ছে---

সুদীর্ঘ কাল ধরে জীবনের মূল লক্ষ্য-পথ থেকে বিচ‍্যুত থাকার কারণেই এমনটা ঘটছে। এবং মারাত্মক বিধ্বংসী আকার ধারণ করতে চলেছে!

জীবনের মূল লক্ষ্য ঈশ্বর লাভ---ঈশ্বরের কৃপা লাভ নয়, ঈশ্বরত্ব লাভ। আর তার জন্য আত্মবিকাশ লাভ---মানবত্ব লাভ করতে হবে সবার আগে।

মানুষকে তার মানবধর্ম থেকে পথভ্রষ্ট করেছে--- প্রচলিত ধর্ম আর রাজনীতি।

এমনকি বহু মানুষ জীবনের মূল লক্ষ্য সম্পর্কেই অবগত নন। আবার অনেক মানুষের জীবনে (মহত লক্ষ্য তো দূরের কথা) তেমন কোনো লক্ষ্যই নেই! কেমন একটা নেশাচ্ছন্ন ঘোরের মধ্যে অজ্ঞান-অন্ধবৎ টালমাটাল হয়ে এগিয়ে চলছে!

অসুস্থ মনের মানুষ, আর বিকৃতকামী কামোন্মাদে দেশ ভরে গেছে! 
এরএকমাত্র সমাধান-- মানব ধর্ম: মহাধর্ম।
এখনো সময় আছে...

নিষ্কামকর্ম যেন সোনার পাথরবাটি !

শরীর ও মনের মধ্যে থাকা অথবা উৎপন্ন হওয়া নানা প্রকার অভাব— শূণ্যতা— ঘাটতি থেকেই সৃষ্টি হয়— সেই অভাব— শূণ্যতা পূরণের চাহিদা বা কামনা। আর, সেই কামনাকে মেটাতেই আমরা কর্ম ক’রে থাকি।

এই চাহিদা বা কামনা— সচেতনভাবে ঘটতে পারে, আবার অবচেতনভাবেও ঘটতে পারে। অর্থাৎ সচেতন মনের চাহিদামতো কর্ম হতে পারে, আবার কখনো, সচেতন মনের অজ্ঞাতসারে— অবচেতন মনের চাহিদামতোও কর্ম হতে পারে।

যেখানে অভাব নেই— শূণ্যতা নেই, সেখানে তা’ পূরণ করার চাহিদা বা কামনাও নেই। কামনা থেকেই কর্ম। এই বিশ্বজগৎ জুড়ে যা কিছু ঘটছে— তার পিছনে আছে কামনা। কোনো সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে নিষ্কাম কর্ম করা সম্ভব নয়। জ্ঞাতে-অজ্ঞাতে সে যা-ই করুক না কেনো, তার পিছনে অভাব—শূণ্যতা থেকে উৎপন্ন চাহিদা বা কামনা থাকবেই। তা’ সে শরীরের চাহিদাই হোক আর মনের চাহিদাই হোক, অথবা তা’ ভিত্তিমূল মন-সফটওয়ারের চাহিদাই হোক। তার, সেই কামনা সম্পর্কে সে ওয়াকিবহাল থাকুক আর না-ই থাকুক। কাম বা কামনা ছাড়া কর্ম হবেনা।

আপাতদৃষ্টিতে, ঐচ্ছিকভাবে অথবা অনৈচ্ছিকভাবে, যে কোনোভাবেই কর্ম সংঘটিত হোক না কেনো— বুঝতে হবে, তার পিছনে কারো না কারো ইচ্ছা বা কামনা কাজ করছে। সে জাগতিক-ব্যবস্থা হতে পারে, ঈশ্বর হতে পারে, অথবা আদি-সত্তা পরমাত্মা হতে পারে।

আমাদের অন্তরের গভীরে আছে শূণ্যতা— আছে অভাব। জ্ঞানের অভাব— চেতনার অভাব। জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতে— সর্বদা আমরা সেই শূণ্যতা মোচনের জন্য— পূর্ণতালাভের জন্য ব্যকূল হয়ে আছি। এবার, যার যেমন জ্ঞান-অভিজ্ঞতা-চেতনা, যেমন শারীরিক ও মানসিক অবস্থা, সেই মতো তার চিন্তা-চাহিদা-কামনা। কিভাবে কীসে যে তার অভাব পূরণ হবে, —অনেক মানুষই তা’ বোঝার মতো অবস্থায় নেই। অজ্ঞান শিশুরমতো তাই— চারিপাশে যাকিছু সে দেখছে, —তা’ই দিয়েই সে তার শূণ্যতা দূর ক’রে— পূর্ণতা লাভের চেষ্টা ক’রে চলেছে। ভাবছে, এটা পেলে অথবা ওটা করলে বুঝি তার চাহিদা পূর্ণ হবে। এইভাবে কর্ম ও ভোগের মধ্য দিয়ে— দুঃখ-কষ্ট-যন্ত্রনা ভোগের মধ্য দিয়ে, একটু একটু ক’রে ক্রমশ জ্ঞান-অভিজ্ঞতা-চেতনা লাভের দ্বারা মানুষ নিজের অজান্তেই তিলেতিলে পূর্ণতা লাভের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। এটাই জাগতিক ব্যবস্থা।

আরেকটু তলিয়ে দেখলে— দেখা যাবে, আমরা যাকিছু করছি— যে সমস্ত কর্ম করছি, কামনা করছি— চিন্তা করছি, এ’সব কিছুই আমরা করতে বাধ্য হচ্ছি। জাগতিক-ব্যবস্থা আমাদের দিয়ে যা করাচ্ছে, আমরা তা’ই করছি। ভাগ্যরূপ জাগতিক ঘটনাপ্রবাহের অধীন আমরা— যা কিছু করছি— বাধ্য হয়ে করছি।

চলে যাই আরো অনেক দূরে— অনেক গভীরে—। যে আদি সত্তা— পরমাত্মা থেকে সমস্ত জগত-সংসার সৃষ্টি হয়েছে, সে-ও কিন্তু পূর্ণ নয়। পূর্ণাবস্থা থেকে কোনো কিছু সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয় (মহাবাদ দ্রষ্টব্য)। পূর্ণাবস্থায় কোনো চাহিদা— কোনো কামনা থাকেনা, কোনো কর্মও থাকে না। পরমাত্মাকেও তার অভাব থেকে উৎপন্ন চাহিদা বা কামনা পূরণের উদ্দেশে কর্ম করতে হয়েছে ও হচ্ছে। আর, সেই কর্ম হেকেই সৃষ্টি হয়েছে এই বিশ্ব-ব্রহ্মান্ড —চলছে এই মহা সৃষ্টিলীলা।

তার অংশানুক্রমে— তার চাহিদানুসারে আমরাও কর্ম ক’রে চলেছি। তবে, স্বল্প জ্ঞান ও চেতনার কারণে— আমাদের কামনা-বাসনা-কর্মের জন্য অনেক সময়েই আমাদেরকে দুঃখ-কষ্ট-যন্ত্রনা ভোগ করতে হচ্ছে— (যার জন্য আমরা মোটেই দায়ী নই)। এর কারণ সেই অপূর্ণতা— জ্ঞান ও চেতনার অভাব। আমরা যদি জ্ঞান ও চেতনা লাভের জন্য সচেতনভাবে কর্ম করতে পারি— সেই কর্মই হবে শ্রেষ্ঠ কর্ম।

অলৌকিকতার প্রতি মোহ! এ'হলো আর এক সর্বনাশা নেশা! এই নেশা মানুষকে যুক্তি-বিচার ও জ্ঞানের পথ থেকে বিচ্ছিন্ন ক'রে বিপথগামী ক'রে তোলে।

মহাবাদ ও বিবর্তনবাদ

মহাবাদ-উক্ত সৃষ্টিতত্ত্বে ঈশ্বরই উদ্ভিদ ও জীব সৃষ্টি করেছে। হ‍্যাঁ, ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই এই সৃষ্টি হয়েছে। তবে, তার খেয়াল-খুশি মতো, যখন যা ইচ্ছা হয়েছে--- ইচ্ছা করার সাথে সাথেই একেরপর এক নতুন নতুন উদ্ভিদ ও জীব তৈরী হয়ে গেছে, এমন নয়।

একের পর এক নব নব সৃষ্টির পিছনে রয়েছে ---সুদীর্ঘকাল ধরে নিরলস গবেষণা আর শৈল্পিক চিন্তা-ভাবনা।

এখানে (মহাবাদ-এ), ঈশ্বর-মন--- ক্রমবিকাশমান । এগিয়ে চলার সাথে সাথে ঈশ্বরের জ্ঞান-অভিজ্ঞতা-চেতনার ক্রমবিকাশ ঘটেছে। সেই সঙ্গে তার সৃষ্টিও হয়েছে ক্রমোন্নত।

ক্রমশই একটু একটু করে সে তার সৃষ্টিকে ক্রমোন্নত করে তুলেছে। ফলে, গতকালের সৃষ্টি--- আর আজকের সৃষ্টির মধ্যে--- ক্রমোন্নতির স্বাক্ষর বা প্রমাণ থাকবে, এটাই তো স্বাভাবিক।

সৃষ্টি নিজের থেকেই অল্প-বিস্তর ক্রমশ বিবর্তিত হয়েছে খুব কম ক্ষেত্রেই। যেটুকু হয়েছে, সেও ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই। ঈশ্বর তার মধ্যে সেই রূপ প্রয়োজনীয় নির্দেশ (প্রোগ্রাম) অন্তর্গ্রথিত করে দেওয়ার ফলে।

আসলে, বিবর্তনবাদ হলো--- অন্ধের হস্তী দর্শন। সে সমস্ত হাতীটাকে দেখতে পায়নি এখনো।

111.jpg
444.jpg

।। সত্য ও অলীক সত্য ।।

অজ্ঞান-অন্ধ-বিশ্বাসী মানুষ সত‍্যের প্রতি আকৃষ্ট হয় না। একমাত্র মিথ্যাই তাদেরকে অন্ধ-আবেগে ছুটে চলার ইন্ধন জোগাতে পারে। সত‍্য কখনও অন্ধ-আবেগ সৃষ্টি করে না।

লক্ষ লক্ষ মানুষকে অন্ধ-আবেগে উত্তাল করে তুলে, যেকোনো লক্ষ্যে ছুটিয়ে নিয়ে যাওয়ার পিছনে যত বড় মোহিনী শক্তিই থাকুক না কেন, সেখানে সত‍্য থাকতে পারে না।

সত‍্য মোটেও অন্ধ-ভাবাবেগের বিষয় নয়। যেখানেই অন্ধ-ভাবাবেগ পরিলক্ষিত হবে, বুঝতে হবে--- সেখানে সত‍্য নেই।

মিথ‍্যার কারবারিরা 'সত‍্য‍' নামে এক অলীক সত‍্যকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তারা সেই সত‍্যের নামে মিথ‍্যার পিছনে ছুটিয়ে মারছে সরল সাধাসিধে স্বল্প-চেতন মানুষকে। অজ্ঞান-অন্ধ-বিশ্বাসী মানুষ তাই মিথ্যাকেই সত্য জ্ঞানে পূজা করে আসছে এতকাল।

1.jpg

মহাধর্মের ব্যবহারীক (প্র্যাকটিক্যাল) দিক হলো— ‘মহামনন’ বা মহা আত্মবিকাশ শিক্ষাক্রম। আত্মবিকাশ অর্থাৎ মনোবিকাশ ঘটানোর সাথে সাথে সর্বাঙ্গীন সুস্থতা লাভই হলো এই শিক্ষাক্রমের উদ্দেশ্য।

বিভিন্ন চিকিৎসা বিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, অধ্যাত্ম মনোবিজ্ঞান, যোগবিজ্ঞান এবং অন্যান্য বিজ্ঞানের সমন্বয়ে এবং ‘মহাবাদ’ গ্রন্থের প্রকৃষ্ট জ্ঞানের সাহায্যে এই অসাধারণ শিক্ষাক্রম গ’ড়ে উঠেছে— বহুকালের নিরলস ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও গবেষনার ফলে--।

নিজেকে জানা—নিজের শরীর ও মনকে জানা, নিজের চারিপাশ সহ মানুষকে চেনা, নিজের প্রকৃত অবস্থান সহ জগৎ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান লাভ, নিজের উপর নিয়ন্ত্রন লাভ, জগতকে আরো বেশি উপভোগ করার জন্য নিজেকে যোগ্য—সমর্থ ক’রে তোলা— এই রকম আরো অনেক বিষয় নিয়েই এই শিক্ষাক্রম।

নিষ্ঠার সাথে শিক্ষা ও অনুশীলন করতে থাকলে— আস্তে আস্তে আপনার ভিতরে এক উন্নত—বিকশিত নতুন মানুষ জন্ম নেবে। যা দেখে আর সবার মতো আপনিও বিস্ময়ে মুগ্ধ হয়ে যাবেন। নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা বিপুল সম্পদের অধিকারী হয়ে অপার আনন্দের আধার হয়ে উঠবেন আপনি। আপনার চারিপাশে থাকা সবাই এই আনন্দের সংস্পর্শে এসে তারাও আনন্দ লাভ করবে!

ছাত্র-ছাত্রীগণ তাদের প্রচলিত শিক্ষা গ্রহনের পাশাপাশি এই আত্মবিকাশ শিক্ষা গ্রহনের দ্বারা তাদের পরীক্ষার ফল আরো ভালো করতে সক্ষম হবে। এছাড়া তাদের আচরণেও শুভ পরিবর্তন দেখা যাবে।

অন্ধ-অবুঝ ভালবাসা আর সচেতন ভালবাসা

মহামানস

অনেক প্রকারের ভালবাসা আছে। অন্ধ-অবুঝ ভালবাসা, সচেতন ভালবাসা প্রভৃতি। একজন মা— তার ছেলেটিকে খুব ভালবাসে। ছেলে যখন যা চায়, সে তা-ই এনে দেয় তাকে। ছেলে সর্বক্ষণ আবোল-তাবোল বিষয়—বস্তু নিয়ে মেতে থাকলে, অন্ধ-বিশ্বাস –কুসংস্কারে মজে থাকলে– মায়ের খুব আনন্দ! ছেলে যেমন আচরণই করুক না কেন, সবই তার খুব ভাললাগে! এমনকী, ছেলের অসদাচরণেও সেই মা গর্ব বোধ করে থাকে, এবং সবাইকে বড়মুখ করে– ছেলের সেইসব কীর্তি-কলাপের কথা বর্ণনা করে থাকে!

এই ছেলেটির বাবা– সেও তার ছেলেকে খুব ভালবাসে কিন্তু তার মধ্যে ভালবাসার উচ্ছলতা নেই, নেই কোনো আদিখ্যেতা। বরং, সে তার ছেলের বয়স অনুপাতে কম বুদ্ধি –কম চেতনার জন্যে খুবই চিন্তিত, এবং বিভিন্ন সময়ে অসদাচারণের জন্যে– ভিতরে ভিতরে সে অসুখী। অসন্তুষ্ট তার স্ত্রীর আচরণেও! সে চায়, তার ছেলে যেন বিপথগামী না হয়ে– জ্ঞানে-গুণে সমৃদ্ধ এবং সদাচারণে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। সুস্থ থাকে। আর, কালক্রমে পূর্ণবিকশিত মানুষ হয়ে উঠতে পারে।

তার জন্যে সে তাদের অনেক কাজেই প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়। আর সর্বদাই চেষ্টা ক’রে চলে– যাতে করে তার ছেলে একজন মানুষের মতো মানুষ হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু, ছেলে আর তার মা ভাবে, ‘বাবা’ ছেলেকে মোটেই ভালবাসে না! 


মানুষের প্রতি আমার ভালবাসাও ঐ বাবাটির মতোই। তাই, আপাতদৃষ্টিতে অনেকেরই মনে হতে পারে– আমি মানুষকে ভালবাসি না।

ঈশ্বর-মন

ঈশ্বর-মন নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। যারা নিজের মনটাকেই এখনো ঠিকমতো বুঝতে বা জানতে পারেনি, তাদের পক্ষে ঈশ্বর-মনকে বোঝা বা জানা, তার অস্তিত্ব উপলব্ধি করা সত্যিই দুষ্কর। 


মনকে বুঝতে হয় মন দিয়েই। আর তার জন্য প্রয়োজন হয়--- সজাগ-সচেতন-সত‍্যপ্রিয়, বিকশিত মুক্ত-মন।

ঈশ্বর-মনের অস্তিত্ব উপলব্ধি করার পক্ষে এই নিদর্শনটি অনেকটা সহায়ক হবে আশাকরি--- 


মরণশীল জীবের বংশবৃদ্ধির মধ্য দিয়ে--- তাদের অস্তিত্ব, বংশধারা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে, ঈশ্বর যে কৌশল রচনা করেছে, তাতেই তার বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায়। আর, বুদ্ধিমত্তাই হলো 'মন'-এর উপস্থিতির নিদর্শন। অর্থাৎ যেখানে বুদ্ধি আছে, সেখানে অবশ্যই মন আছে।

যেমন, কোথাও ধোঁয়া থাকলে--- আমরা সেখানে আগুনের অস্তিত্ব বা উপস্থিতি সহজেই অনুমান করতে পারি।

এবার বলি, সেই কৌশলের কথা---
যৌনসুখের প্রতি জীবকে প্রলুব্ধ ক'রে তুলে, ---তার মধ্যে যৌন মিলনের তাড়নারূপ প্রোগ্রাম-এর অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে, জীবকে যৌনমিলনে অনুপ্রাণিত বা বাধ্য ক'রে তোলার কৌশলটি অবশ্যই ঈশ্বরের বুদ্ধিমত্তার পরিচয়। 


খুঁজলে, এইরকম আরো অনেক নিদর্শন পাওয়া যাবে। আর একটু সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করলে, দেখা যাবে--- আমাদেরকে স্বল্পচেতন মানব থেকে ক্রমশ উচ্চ--- আরও উচ্চ চেতনা ও জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ ক'রে তোলার উদ্দেশ্যে , সে নানা প্রকার কৌশল তৈরী করেছে।

এছাড়াও, আরো সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যাবে, সুদীর্ঘকাল ধরে ঈশ্বর-মনও ক্রমশ একটু একটু ক'রে বিকশিত হয়ে চলছে। মনোবিকাশের সাথে সাথে তার সৃজন ক্ষমতারও যে উন্নতি হয়েছে, তা তার ক্রমোন্নত (কীট থেকে আরম্ভ করে উন্নত মানুষ) সৃষ্টির দিকে তাকালেই তা' স্পষ্ট বোঝা যাবে।

আত্মবিকাশ যোগ শিক্ষাক্রম ক্লাসের জন্য, কলকাতায় উপযুক্ত বাড়ি/ঘর সহজশর্তে বা দান করতে
ইচ্ছুক ব‍্যক্তিগণ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।
ত‍্যাগ-- ত‍্যাগ ক'রে মাথা না ঘামিয়ে, যোগের পথ ধরো। সামনের সিঁড়িতে পা বাড়ানোর সাথে সাথে, পিছনের সিঁড়ি আপনা থেকেই ত‍্যাগ হয়ে যাবে।

 অসুস্থ বিকারগ্রস্ত উন্মাদনা ও কামোন্মাদনা আজ সংক্রামক মহামারক ব‍্যাধির মতো চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ছে---

সুদীর্ঘ কাল ধরে জীবনের মূল লক্ষ্য-পথ থেকে বিচ‍্যুত থাকার কারণেই এমনটা ঘটছে। এবং মারাত্মক বিধ্বংসী আকার ধারণ করতে চলেছে!

জীবনের মূল লক্ষ্য ঈশ্বর লাভ---ঈশ্বরের কৃপা লাভ নয়, ঈশ্বরত্ব লাভ। আর তার জন্য আত্মবিকাশ লাভ---মানবত্ব লাভ করতে হবে সবার আগে।

মানুষকে তার মানবধর্ম থেকে পথভ্রষ্ট করেছে--- প্রচলিত ধর্ম আর রাজনীতি।

এমনকি বহু মানুষ জীবনের মূল লক্ষ্য সম্পর্কেই অবগত নন। আবার অনেক মানুষের জীবনে (মহত লক্ষ্য তো দূরের কথা) তেমন কোনো লক্ষ্যই নেই! কেমন একটা নেশাচ্ছন্ন ঘোরের মধ্যে অজ্ঞান-অন্ধবৎ টালমাটাল হয়ে এগিয়ে চলছে!

আমি কে--কেন..?
এ' প্রশ্ন আজ নতুন নয়। এ' তোমার-আমার অন্তরে জ্ঞাতে-অজ্ঞাতে অনুক্ষণ অনুরোণিত হয়ে চলেছে, এই প্রশ্নই সৃষ্টির মূল কারণ।

অজ্ঞান ভক্তি ◆ সজ্ঞান ভক্তি
~মহামানস

ভক্তিযোগ দুই প্রকার। এক--- অজ্ঞান ভক্তি, দুই--- সজ্ঞান ভক্তি।

ক্রমবিকাশমান চেতনার পথে---, একই পথের বিভিন্ন স্তরের বিভিন্ন রূপ।

অজ্ঞান ভক্তিযোগের পরে আসে নাস্তিকতা। তারপর আসে জ্ঞানযোগের অধ‍্যায়। জ্ঞানযোগের মধ‍্যেও রয়েছে কয়েকটি স্তর। এই জ্ঞানযোগের পরে যে ভক্তিযোগের অধ‍্যায় আসে, সে-ই হলো সজ্ঞান ভক্তিযোগ।

নিজেকে তথা ঈশ্বরকে নিজেদের স্বরূপে জানার পর যে ভক্তি জন্মায়, সেই হলো বিশুদ্ধ ভক্তি। মায়া-মোহমুক্ত--- অজ্ঞানতা মুক্ত শুদ্ধ ভক্তি। সে-ই শ্রেষ্ঠ ভক্তিযোগ।

এই স্তরগুলির আগে---পরে ও মাঝেও অনেক ছোট ছোট স্তর আছে।

এই ভাবেই ধাপে ধাপে--- পায়ে পায়ে বিভিন্ন স্তর পেরিয়ে একসময় আমরা পৌঁছে যাবো পরম লক্ষ্যে। পূর্ণ বিকাশের লক্ষ্যে। অন্তিমে ঘটবে ঈশ্বরত্ব লাভ। চেতনার পূর্ণ বিকাশ।

333.jpg

'মানব ধর্ম' কথাটি বহুল প্রচলিত হলেও, এতদিন এর স্পষ্ট কোনো রূপ ছিল না। যেন এক বিমূর্ত বিষয় ছিল এতদিন।

'মহাধর্ম' নামক--- মানবধর্ম ভিত্তিক, মানব বিকাশমূলক ধর্মটিই --- এই মানবধর্ম কে মূর্ত করে তুলেছে। এর একটি স্পষ্ট রূপরেখা আমাদের সামনে তুলে ধরেছে।

মানুষের আদি ধর্ম--- মূলগত মৌলিক ধর্ম বলতে, মানব ধর্মকেই বোঝায়। বাকি সব ধর্মই হলো--- মানুষের উপর আরোপিত ধর্ম। মানুষ মানবধর্ম নিয়েই জন্মায়। প্রচলিত ধর্মগুলি মানুষের মৌলিক ধর্ম--- মানব বিকাশের ধর্মকে চাপা দিয়ে রেখে, বিস্মরণ ঘটিয়ে, তারা মানুষের উপর আরোপিত হয়ে মানুষকে বিকাশের পথ থেকে বিপথগামী করে তোলে।

এখন বিতর্কের বিষয় হলো 'মহাধর্ম' নামে এই ধর্মটিকে কি মানবধর্ম তথা মানুষের মৌলিক ধর্ম রূপেই বিবেচনা করা হবে, নাকি এই ধর্ম--- মানবধর্ম ভিত্তিক হলেও, এই ধর্ম স্বতন্ত্র ধর্ম রূপে বিবেচিত হবে।


খোলা মনের যুক্তিযুক্ত সুচিন্তিত মত বা দৃষ্টিভঙ্গিই শুধু কাম্য। অন্য ধর্মের উল্লেখ অথবা অন্য কারও উক্তি কাম‍্য নয়। মতামত দেওয়ার পূর্বে মহাধর্ম সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞান অর্জন করা আবশ্যক। তার জন্য এই ওয়েবসাইট (সমস্ত পেজগুলো সহ) দেখুন ও পড়ুন: 


www.mahadharma.in

4321.jpg

আমরা চাই—

আমরা আমাদের জীবনকে আরও বিকশিত ক’রে তুলতে চাই— জীবনে সফল হতে চাই, সুখী-সমৃদ্ধ-শান্তিপূর্ণ —আনন্দময়-সুন্দর জীবন লাভ করতে চাই। নিজেকে পূর্ণরূপে দেখতে চাই!

আমরা নিজেদের বিকাশের সাথে সাথে— আমাদের সন্তানদেরও মানুষের মতো মানুষ ক’রে তুলতে চাই, তাদের সঠিকভাবে বিকশিত ক’রে তুলতে চাই। জ্ঞানে-গুণে, আচরণে, প্রকৃত শিক্ষায়— সক্ষমতায় পরিপূর্ণ মানুষ ক’রে তুলতে চাই।

আপনিও কি তাই চান?

আপনার চাহিদাও যদি তাই হয়, যদি চান এক সুন্দর—বিকাশমান— সুস্থ-সুখী জীবন উপভোগ করতে, ‘মহামনন’ মহা—আত্মবিকাশ শিক্ষাক্রমের মধ্য দিয়ে— আপনি তা’ অবশ্যই লাভ করতে পারবেন। এমনকি ছাত্র-ছাত্রীগণ তাদের পড়াশোনার সাথে সাথে— ‘মহামনন’ শিক্ষা এবং আত্মবিকাশ-যোগ নিয়মিত অভ্যাস করলে, সার্বিক উন্নতি সহ— তাদের আচরণ ও পরীক্ষার রেজাল্টও অনেক ভালো হয়ে থাকে।

‘মহামনন’ মহা—আত্মবিকাশ শিক্ষাক্রমের জন্য ‘মহামনন’ ক্লাসে যোগদিন।

মহামনন

মহামানস নির্দেশিত ও প্রদর্শিত পথে সহজ-সরল অপূর্ব এই শিক্ষা অধ্যয়ন ও অনুশীলনের মধ্য দিয়ে— জীবনে আনুন এক অভূতপূর্ব বিস্ময়কর শুভ পরিবর্তন। আপনার জীবন আরও সুন্দর ও আরও বিকশিত হয়ে উঠুক।

মহা-আত্মবিকাশের জন্য মনন-ই হলো— ‘মহামনন’। প্রকৃত আত্মবিকাশ লাভের এক অতুলনীয় শিক্ষাক্রম-ই হলো—‘মহামনন’। ভিত্তিমূল শিক্ষা থেকে আরম্ভ ক’রে অতি উচ্চস্তরের ‘মহা-আত্ম-বিকাশ-যোগ’ শিক্ষাক্রমই হলো—‘মহামনন’।

—যার মধ্য দিয়ে ক্রমশই বহু সত্য —বহু অভাবনীয় তথ্য ও তত্ত্ব আপনার সামনে উদ্ঘাটিত হবে, আস্তে আস্তে এক সুস্থ-সমৃদ্ধশালী নতুন মানুষ জন্ম নেবে আপনার মধ্যে, এবং ক্রমশ বিকাশলাভ করতে থাকবে— করতেই থাকবে। সুস্থতা ছাড়া আত্মবিকাশ সম্ভব নয়। তাই, এই শিক্ষাক্রমের অঙ্গ হিসাবে আপনি এখানে অভিজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।

আরো বিশদভাবে জানতে, এই ওয়েবসাইটগুলি দেখুন- www.mahamanan.wix.com/education

bottom of page