top of page
মানব বিকাশের এক মহা বৈপ্লবিক উত্তাল তরঙ্গ ধেয়ে আসছে, আমাদের অলক্ষ্যে। এখন শুধু তাকে সাগ্রহে সাদর অভ‍্যর্থনা জানতে হবে, আমাদের স্বার্থেই।
1.jpg

অন্ধবিশ্বাস--- সাংঘাতিক সংক্রামক জীবাণুর চাইতেও ভয়ংকর! 
~মহর্ষি মহামানস

মাঝে মাঝেই অন্ধবিশ্বাসীদের বলতে শোনা যায়, --তাঁঁদের বিশ্বাস (যা আসলে অন্ধবিশ্বাস) -এর বিরোধিতা করা নাকি তাঁঁদের ব‍্যক্তি-স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা!

এখন, একজন অন্ধবিশ্বাসী কি তার বিশ্বাস শুধু তাঁঁর ব‍্যক্তিগত ক্ষেত্রে--- নিজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেন? ---না, তা' রাখেন না। তা' যদি রাখতেন, তাহলে খুব বেশি সমস্যা সৃষ্টি হতোনা।

ঠিক ভয়ানক সংক্রামক জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত মানুষের মতোই, একজন অন্ধবিশ্বাসী--- তাঁঁর সন্তান এবং নিকটজনসহ তাঁঁর চারিপাশের বহু মানুষের মধ্যেই তাঁঁর অন্ধবিশ্বাসের সংক্রমণ ঘটাতে সদা তৎপর থাকেন। আর এইভাবেই, ক্রমাগত মানব সমাজের সাংঘাতিক ক্ষতি করে চলেছেন তাঁঁরা!

3.jpg
2.jpg

।। অন্ধবিশ্বাস, সাধারণ বিশ্বাস ও আপাত বিশ্বাস ।।
~মহর্ষি মহামানস

অন্ধবিশ্বাস ও সাধারণ বিশ্বাস সম্পর্কে আলোচনা করার আগে, বিশ্বাস সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা থাকা প্রয়োজন। জানতে হবে, বিশ্বাস আসলে কী!

কোনো বিষয়--- বস্তু, তথ্য--- তত্ত্ব, ব‍্যক্তি প্রভৃতি যেকোনো কিছু সম্পর্কে একজনের সম‍্যক জ্ঞান বা ধারণা না থাকা সত্ত্বেও, তাকে সত্য বলে মেনে নেওয়া অথবা মনে স্থান দেওয়ায়ই হলো--- বিশ্বাস।

অন্ধবিশ্বাস কোনো যুক্তি--- বিচার, প্রমানের ধার ধারে না। অন্ধবিশ্বাস হলো দৃঢ়মূল অটুট বিশ্বাস।

আর সাধারণ বিশ্বাস হলো--- কতকটা আপাত বিশ্বাসের মতো অস্থায়ী বিশ্বাস। এই বিশ্বাস--- যুক্তি-প্রমাণ এবং বিশেষ ঘটনা সাপেক্ষে যেকোনো সময় বদলে যেতে পারে।

তবে, 'আপাত বিশ্বাসের' সঙ্গে এর পার্থক্য আছে। 'আপাত বিশ্বাস' হলো সজাগ-সচেতন যুক্তিবাদী মানুষের, ব‍্যবহারিক কাজ চালানোর জন্য, কর্ম সম্পাদনের জন্য সাময়িক বিশ্বাস। এই বিশ্বাস যেকোনো সময় ভঙ্গ হতে পারে বা পরিবর্তীত হতে পারে, এমন মানসিক প্রস্তুতি থাকা--- সজাগ-সচেতন মনের বিশ্বাস।

7.jpg
9.jpg

যুগযুগ ধরে তথাকথিত ধর্ম মানুষকে অজ্ঞান-অন্ধ নেশাগ্রস্ত উন্মাদ বানিয়ে রেখেছে। চারিদিকে যত অশান্তি অসুখ আর নিপীড়িত মানুষের ক্রন্দন রোল, --এসবের জন্য প্রধানত দায়ী হলো-- এই ধর্ম রূপী অধর্ম।

মানুষের একমাত্র ধর্ম হলো-- মানব ধর্ম। মনোবিকাশ তথা মানববিকাশ মূলক ধর্ম। 


মানুষকে নেশাচ্ছন্ন করে, জীবনের মূল লক্ষ্যকে ভুলিয়ে রেখে, মানব বিকাশের পথ থেকে আমাদেরকে বিপথগামী করে তুলেছে এই ধর্ম।

এখনো যদি মানুষ সজাগ-সচেতন না হতে পারে, এই ধর্ম রূপ অধর্মকে চিনতে না পারে, তাহলে অনিবার্য ধ্বংসের আর খুব বেশি দেরী নেই।

।। মানব ধর্মই মহাধর্ম ।।

11.jpg
প্রসঙ্গ : মাতৃভাষা

মাতৃভাষাকে প্রাধান্য দেওয়ার অর্থ এই নয়, অশিক্ষিতা মা-এর অশুদ্ধ-- অপরিশীলিত ভাষাকে অনুসরণ বা অনুক‍রণ করা। 
~ম.ম
222.jpg
444.jpg
সিক্রেট!
নস্ট্রাদামাস তাঁঁর ভবিষ্যত বাণীতে যে মহাপুরুষের আবির্ভাবের কথা বলে গেছেন, সেই মহাপুরুষ-ই হলেন, মহর্ষি মহামানস।
5.jpg

আজ আপনাদেরকে একটি নতুন ধর্মের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে প্রয়াসী হয়েছি।


সময়ের চাহিদা মতো, বহু যুগ পরে সম্পূর্ণ মানব ধর্ম ভিত্তিক একটি নতুন ধর্মের আবির্ভাব হয়েছে, তাও আবার আমাদের এই বাংলাতেই। ধর্মটির নাম 'মহাধর্ম'।

এই ধর্ম প্রচলিত ধর্মগুলির মতো অন্ধবিশ্বাস এবং ঈশ্বরারাধনা ভিত্তিক ধর্ম নয়। মহাধর্ম হলো বিমূর্ত মানবধর্মের মূর্ত রূপ--- মানববিকাশ মূলক ধর্ম। অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর করে, সচেতনতার আলোকে জগতকে আলোকময় করে তুলতেই মানব ধর্ম~ মহাধর্ম -এর আবির্ভাব।

ইন্টারনেট তথা সোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই ধর্মমত প্রায় সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আত্মবিকাশকামী যুক্তিবাদী মুক্তচিন্তক অনেক মানুষই ক্রমশ এই ধর্মের ভক্ত হয়ে উঠেছেন।

এই ধর্মের প্রবর্তক-- মহর্ষি মহামানস।

বিশদভাবে জানতে, এই বাংলা ওয়েবসাইট দেখুন: www.mahadharma.in

মানব ধর্ম— হলো মানুষের প্রকৃত ধর্ম— আদি ধর্ম। আত্ম-বিকাশের ধর্ম। আমরা সেই মানবধর্মকে ভুলে গিয়ে, নানারূপ ধর্ম ও অধর্ম নিয়ে অজ্ঞান-অন্ধের মতো মোহাচ্ছন্ন হয়ে মেতে আছি। চারিদিকে একটু সচেতন দৃষ্টিতে তাকালেই দেখা যাবে— দিনকে দিন ক্রমশ ভয়ানক পরিণতির দিকে এগিয়ে চলেছি আমরা। আজকের এই ঘোর সঙ্কটকালে— এই সর্বনাশা করুণ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে, অবিলম্বে মানব ধর্মকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত ক’রে, মানব ধর্ম অনুশীলন করতে হবে আমাদের।

মানবধর্ম মানে শুধু সৎ ও সহৃদয় হয়ে ওঠাই নয়, মানব ধর্ম হলো পূর্ণ বিকশিত মানুষ হয়ে ওঠার জন্য অবশ্য পালনীয় ধর্ম। একজন বিকশিত মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবেই সৎ ও সহৃদয় হয়ে থাকেন।

মানবধর্ম অনুশীলনের মধ্যদিয়েই প্রকৃত মানব-বিকাশ এবং বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে। মানবজীবনে এক শুভ পরিবর্তন আসছে— মহাধর্ম-এর পথ ধরে।

মানব ধর্মই— মহাধর্ম। মানব ধর্মের মূর্ত রূপই হলো 'মহাধর্ম'। 
প্রতিটি মানুষের প্রধান কর্তব্য হলো প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠা। 
পূর্ণ বিকশিত মানুষ হয়ে ওঠার জন্য অনুশীলনীয় ধর্মই হলো~ 
মহাধর্ম।

মহাধর্ম হলো— মানবধর্ম ভিত্তিক অন্ধ-বিশ্বাসমুক্ত মানব-বিকাশমূলক অধ্যাত্মিক-বিজ্ঞান অনুসারী যুগোপযোগী ধর্ম। মহাধর্ম হল— এ’কালের মহা বৈপ্লবিক উত্তাল তরঙ্গ— প্রকৃত মানব বিকাশের জন্য। এ’হলো অত্যুৎকৃষ্ট (সুস্থ—শান্তিপূর্ণ ও যথেষ্ট বিকশিত) জীবন লাভের শ্রেষ্ঠ পথ। মহাধর্ম গ্রহন করতে, এবং দিকে দিকে সংগঠন গড়ে তুলতে, মুক্তমনের সত্যপ্রেমী যুক্তিবাদী আত্ম-বিকাশকামী জ্ঞানপথের উদ্যোগী মানুষদের আহ্বান জানাই।

প্রতিদিন সারা পৃথিবী জুড়ে অত্যন্ত মর্মাহতকর মনুষ্যকৃত যে সমস্ত ঘটনা ঘটে চলেছে, এবং মানুষের যে বিকৃত—বিকারগ্রস্ত—উন্মাদপ্রায় রূপ আমরা অসহায়ের মতো প্রত্যক্ষ ক’রে চলেছি, ধর্ম—রাজনীতি—প্রশাসন প্রভৃতি প্রচলিত কোনো ব্যবস্থা/সিস্টেম-ই তার প্রতিকারে সক্ষম নয়।

এই ঘোর সঙ্কটে, আগামী সর্বনাশা পরিণতি থেকে আমাদেরকে রক্ষা করতে— মহর্ষি মহামানস একমাত্র সমাধানের পথ দেখিয়েছেন। এখনও সময় আছে, আমরা যদি এখনও সেই পথ অবলম্বন ক’রে এগিয়ে যেতে পারি, তাহলেই শেষ রক্ষা হবে।

মহাধর্ম আমাদেরকে পরমুখাপেক্ষী ভিখারি হতে শেখায় না।
সজাগ সচেতন স্বাবলম্বী হতে শেখায়। মহাধর্ম আমাদেরকে অজ্ঞান অন্ধের মতো বিশ্বাস করতে শেখায় না। বিশুদ্ধ জ্ঞান অর্জন করতে শেখায়।

নিজেদের তথা মানবজাতির প্রকৃত উন্নয়নে, এই মহা কর্মযজ্ঞে শরিক হোন। মহাধর্ম -এর মনোবিকাশ মূলক (আত্মবিকাশ যোগ) শিক্ষার আলো চতুর্দিকে যত বেশি প্রসারিত হবে, অজ্ঞান- অন্ধত্ব- অন্ধকার ততই দূর হয়ে যাবে। আমরা ততই শান্তি-- সুস্থতা, আত্মবিকাশ লাভ করতে পারবো। আরো উন্নত, আরও ভালো জীবন লাভ করতে পারবো আম‍রা।

4.jpg
6.jpg

প্রসঙ্গ : জ্ঞান
~মহর্ষি মহামানস

আমাদের জ্ঞানের মধ্যে রয়েছে বহুমাত্রিক স্তর। জ্ঞানীর গ্রহণ ক্ষমতা, সুযোগ-সুবিধা এবং অনুসন্ধানের ভিত্তিতে কোনো বিষয়-বস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান এবং তার গভীরতার বিভিন্ন মাত্রায় বিভিন্ন স্তরের জ্ঞান লব্ধ হয়ে থাকে।

তবে, বিভিন্ন বিষয়-বস্তু সম্পর্কে এই সমস্ত জ্ঞান-স্তরগুলি নির্ধারণ করা বা পরিমাপ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি এখনও।

আমরা সোজা কথায়, সমস্ত জ্ঞানকে দুই ভাগে বিভক্ত করে বলে থাকি, ---ওপরে ওপরে বা ভাসাভাসা জ্ঞান, আর গভীর জ্ঞান। কিন্তু এ' হলো অতি সরলীকরণ। ভাসাভাসা জ্ঞানের মধ‍্যেও রয়েছে বহু স্তর। আবার গভীর জ্ঞানের মধ‍্যেও রয়েছে বহু স্তর।

এটা হলো জ্ঞানের একটা দিক। আরেকটা দিকেও রয়েছে দুটি বিভাগ। তার একটা হলো--- তথ্যগত জ্ঞান, এবং অপরটি হলো উপলব্ধ বা অভিজ্ঞতা লব্ধ জ্ঞান। এই দুটি বিভাগের মধ‍্যেও রয়েছে বহু মাত্রিক স্তর।

তথ্য-জ্ঞান সম্পর্কে আমাদের একটা মোটামুটি ধারণা আছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, তত্ত্ব-জ্ঞান-ও যদি কারো সম‍্যক উপলব্ধ জ্ঞান না হয়, সেক্ষেত্রে সেও হবে তথ্য-জ্ঞান।

এছাড়াও, জ্ঞানের আরও কয়েকটি প্রকারভেদ আছে, যেমন--- অন্তর্জ্ঞান ---বহীর্জ্ঞান, জ্ঞান রূপে বিশ্বাস অর্থাৎ জ্ঞান বলে মনে করলেও আসলে তা' বিশ্বাস, বিশ্বাস মিশ্রিত জ্ঞান, ভ্রমাত্মক জ্ঞান বা মায়াত্মক জ্ঞান, মনোদর্শন ও বিচার-বিশ্লেষণ হতে উৎপাদিত তত্ত্ব-জ্ঞান, কল্পনা হতে উৎপন্ন হওয়া নিশ্চয়াত্ম জ্ঞান, আর বিশুদ্ধ জ্ঞান। তবে বিশুদ্ধ জ্ঞান প্রায় অমিল বলা চলে।

8.jpg

Sadness– Hardship & free from them


(A very old article, collected from www.mahaism.wordpress.com)

This is true that, this great World System is not good for all living things, not suitable. But still I will say those who can accept this system, heartily can surrender himself/herself completely to this system, and can live nicely to greater extent. And this is also correct that, this worldly system does not want us to accept it completely, to surrender completely to it. It’s main purpose is to give us sadness – hardship – pain. If you can accept happily with the head bowed, the sadness – hardship – pains of this heartless – cruel system, then only, you can live well to a great extent ( if you want to know, what type is this greatly system, & why it want to give us sadness – hardship – pain, –you have to read our main religious scripture – MahaVad).

Two category people accept this system, the first is, true followers of Knowledge Yoga– those who with the purpose of gaining true Knowledge, with the purpose to know the true form of this great worldly system, undergoes great sadness – hardship – pain – travels along road, after attaining true knowledge, realizes that – there is no other way, than accepting this system, creatures have no independent role, s/he is only a part of this system ( due to independent feeling s/he may feel –s/he is simply a puppet of this system ) then, they accept it, without finding other alternative. If a person reaches more higher stage of Knowledge-Yoga, then s/he becomes one in spirit.

The other category, those who are followers of Devotion-Yoga, they do not want to know anything – understand anything. They do not understand ‘system’, they only know their dearest, wholehearted praying God (in own desired form, in own way). They surrender themselves to God, they are free form all burdens. Along with accepting the God completely, they heartily and easily accept his all activities or miracles. In other way they accept this great worldly system. They feel, whatever God does – all for the good. Whatever way he keeps, they are satisfied with that. They feel that, God is Examining their devotion – respect – faith – depending ness by giving in this examination. So “how mach sadness you give, I will never be separated form your lotus feet”. If a person passes this exam, s/he can gradually union with God.

নেশাগ্রস্ত মানুষ যেমন সাময়িক শান্তি লাভ করে থাকে, (প্রচলিত) ধর্ম-ও মানুষকে ঠিক তেমনই শান্তি দেয়। নেশাদ্রব্যের মতোই তার কুফলও অনেক!

মানব ধর্মই মহাধর্ম
প্রচলিত ধর্ম মানুষকে শান্তি দেয়না, সে-ই যত অশান্তির কারণ। 
ধর্ম মানুষকে মানুষ হতে দেয়না, অজ্ঞান- অন্ধ- উন্মাদ করে তোলে মানুষের মন।
22.jpg
333.jpg
আনন্দ উৎসবের মোড়কে মানুষের মনে ধর্ম নামক অধ‍র্মের বিষ ঢোকানোই ধর্মীয় উৎসবের মূল উদ্দেশ্য। 

~মহর্ষি মহামানস
bottom of page